সমস্ত লেখাগুলি

ধর্মই অধর্মের মূল -
দিবাকর মন্ডল
Dec. 3, 2024 | যুক্তি | views:614 | likes:0 | share: 0 | comments:0

ধর্ম শাস্ত্র নামক সংবিধানের যাঁতাকলে পড়ে যেমন মানুষের একটা বিশেষ সম্প্রদায় শোষণ ও নির্যাতন হয়ে আসছে, তেমনি এই ধর্ম শাস্ত্র গুলির নিষ্ঠুর লেখনী নিরীহ পশু পাখিদের কাছেও অভিশাপ হয়ে এসেছে। 


এই যেমন অবলা প্রাণী হাঁস- মুরগি, গরু- ছাগল, পাঠা, মহিষ, উট, কবুতর- এরা জনেই না এদের কি দোষ! কোনো দোষ না করেও শুধু মাত্র ধর্ম শাস্ত্রের সন্মান রক্ষার্থে এই সকল প্রাণীর বলি দেওয়া হয়। 


ভেবে দেখবেন যারা এই সকল ধর্ম শাস্ত্র চালাকি করে লিখেছে তারা কতটা নিষ্ঠুর মানসিকতার হতে পারে!


সেই সাথে ধার্মিক দের প্রচলিত কুসংস্কার গুলি যেভাবে পশু পাখিদের মানব সমাজে ভয়ের আর অভিশাপের বিষয় করে তুলেছে সেটা আরো লজ্জাজনক। 

এই যেমন একটি উদাহরণ দিচ্ছি।বেশি উদাহরণ দিলে বেশি লেখা হবে আপনাদের পড়তে ইচ্ছা হবে না জানি।

দেখবেন সব পশু রাস্তা  কাটে। বিড়াল রাস্তা কাটলে হয় দোষ।


কেনো?

কারণ, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রাহুকে অশুভ গ্রহ বলে মনে করা হয়। রাহুর প্রভাবে জীবনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুর্ঘটনার যোগ আসতে পারে রাহুর প্রভাবে। বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বিড়াল হল রাহুর বাহন। এই কারণেই বিড়াল পথ কাটলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। কারণ বিড়াল পথ কাটছে মানে সেখানে রাহুর প্রভাব রয়েছে। রাহু যেমন দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তেমনি বিড়াল রাস্তা কাটলে তার জন্য দুর্ঘটনা হতে পারে। 


এদিকে বেচারা বিড়াল না জানে রাহু কে, না তাকে চেনে, না রাহু তাকে খেতে দেয়, না থাকতে দেয়। নেহাতই কোনো খাদ্যের লোভে, নয়তো বা জীবনের ভয়ে, জীবন বাঁচাতে কারো তারা খেয়ে সে তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হয়েছে। আর এটাই হয়েছে তার দোষ। একেবারেই মন গড়া একটা গল্প বানিয়ে এই পশুটাকে একটা মানব  সম্প্রদায়ের চোখে বিষ বানিয়েছে এই ধর্ম শাস্ত্র রচনাকার।


একই ভাবে হিন্দু ধর্ম অনুসারে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর বোন হলেন অলক্ষ্মী। এই অলক্ষ্মী দারিদ্রের দেবী। বিড়াল অলক্ষ্মীরও বাহন বলে মনে করা হয়। তাই বিড়াল হল অশুভ আর সংকটের প্রতীক।

এবার আপনারাই বলুন। এটা কোনো যুক্তি হলো? লক্ষ্মী অলক্ষ্মী যতসব সাজানো নাটক আর সেই নাটকে খলনায়কের ড্রাইভার নাকি বিড়াল! 


আমি তো আজ একটি পশুর দুর্দশার কথা শোনালাম। আপনারা নিশ্চয়ই আরো অনেক পশু, পাখি ও প্রাণীর নাম জানেন। আর এও জানেন এই ধর্ম মানতে গিয়ে কিভাবে এই সকল নিরীহ প্রাণীদের সাথে অত্যাচার করা হয়।

তাই একটাই কথা বলবো, কিছু করার আগে যুক্তি দিয়ে বিচার করুন, প্রয়োজনে কারো সাহায্য নিন। মানুষ হয়ে জন্মেছেন, মানবিক হোন। নিষ্ঠুর হবেন না। আপনার কাটলে, আপনাকে মারলে, তাড়া করলে আপনার যেমন অনুভব হয়, সকল জীবের (পশু, পাখি ও প্রাণীর) একই রকম অনুভব হয়।

ফলতা, দ:২৪ পরগনা।

শব্দ দূষণ -
দিবাকর মন্ডল
Nov. 26, 2024 | বিজ্ঞানমনস্কতা | views:880 | likes:0 | share: 0 | comments:0

বছরই রুটিন মাফিক মনসা পুজো থেকে শুরু করে দুর্গাপূজা, কালীপূজা এবং আরো অন্যান্য সমস্ত রকম ধর্মীয় পূজা-পার্বণ অনুষ্ঠানে (কখনও পারিবারিক কখনও বা সার্বজনীন) যেভাবে মাইক এবং বক্সের শব্দতাণ্ডব চালানো হয় তার থেকে কেউ রেহাই পায় না! ঐসব দিনগুলিতে দিনভর মণ্ডপ ও তার আশপাশে মাইক বাজানো হয়। এ ছাড়াও ভাসানে মাত্রাতিরিক্ত জোরে সাউন্ড বক্স বাজানো ও শব্দ বাজি ফাটানো হয়। প্রকাশ্য রাস্তায় একটি ভ্যানে ১০ থেকে ১২টি সাউন্ড বক্স ও আট-দশটি চোঙা মাইক, সাথে জেনারেটর একসঙ্গে তুলে তারস্বরে বাজিয়ে উদ্দাম নাচতে নাচতে ভাসানে যাওয়াটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।


শব্দের তীব্রতা পরিমাপের একক ডেসিবেল (ডিবি)। শব্দের মাত্রা ৪৫ ডিবি হলেই সাধারণত মানুষ ঘুমাতে পারে না। ৮৫ ডিবিতে শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে এবং মাত্রা ১২০ ডিবি হলে কানে ব্যথা শুরু হয়।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি তিন বছরের কম বয়স্ক শিশু কাছাকাছি দূরত্ব থেকে ১০০ ডিবি মাত্রার শব্দ শোনে, তাহলে সে তার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতে পারে। মানুষ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ কিলোহার্টজ (KHZB) স্পন্দনের শব্দ শোনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতানুসারে, সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ একজন মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শব্দবাজি এবং ডিজের আওয়াজে মানুষের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। হৃদ্‌রোগীদের পক্ষেও জোর শব্দ ভীষণ ভাবে ক্ষতিকারক। তাই শব্দ দূষণকে বলা হয় নীরবঘাতক।


আজ আমার রক্ত গরম, আমার বাড়িতে বয়স্ক কোনও লোক নেই, বাচ্চা নেই, বক্স এবং মাইকের মুখ আমার বাড়ির দিকে নয়, তাই আমি গায়ের জোরে উচ্চস্বরে মাইক বক্স চালালে অন্যের ক্ষতি হবে, তাতে আমার কি! এই মানসিকতা নিয়ে যারা রয়েছেন তাদের বলব আগামী দিনে আপনিও বয়স্ক হবেন, আপনার বাড়ি তো একদিন না একদিন ছোট শিশু জন্মাবে! তখন যদি আগামী প্রজন্ম তাদের রক্তের গরমে চোখ দেখিয়ে আপনার বাড়ির দিকে মাইক বক্স করে উচ্চশব্দে গান-বাজনা চালায় তখন আপনি সহ্য করতে পারবেন তো? 


মানবিকতার নামে দানবিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নিজেদের আনন্দের জন্য যাঁরা আইন ভেঙে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলেন, তাঁদের জন্য আইনের সহায়তা নেয়া একমাত্র উপায়।


তাই বলব সার্বজনীন শুভ অনুষ্ঠান মানবিকতার দিক বজায় রেখেই করুন। আপনাদের অনুষ্ঠানের অর্থ যদি হয়ে থাকে সকলের মধ্যে সাম্য, মৈত্রী এবং ভালোবাসার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের ক্ষতিসাধন না করা, সকলের মুখে হাসি ফোটানো, তাহলে আশা করব আপনারা শব্দ দূষণকে নীরব ঘাতক হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নির্ধারিত নিয়ন্ত্রিত মাত্রা বজায় রেখে অনুষ্ঠান করুন তাতে সকলেই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে,  সকলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

জব্দ -
দিবাকর মন্ডল
Nov. 25, 2024 | ছোটোগল্প | views:880 | likes:0 | share: 0 | comments:0

আমাদের পাড়ায় একদিন দুই সাধুবাবা এসেছিলেন। আমাদের ক্লাবের সামনে বড়ো মাঠ এবং মাঠের পাশে একটি বটগাছ রয়েছে। বট গাছটির চারিদিকে গোল করে বসার জায়গা করা রয়েছে। দুই সাধুবাবা সেখানে বসলেন এবং তাদের দেখার জন্য রীতিমতো জনগণের ভিড় বাড়তে লাগল। সাধু বাবাদের তুষ্ট করার জন্য অনেকেই অনেক রকম উপঢৌকন নিয়ে এলেন। কেউ দিলেন চাল, কেউ ডাল কেউ আলু তো কেউ আবার দুই দশ টাকা। অনেক রকম সবজি এবং ফলও দিয়েছেন। পাড়ার মোড়ল বড়ই ধার্মিক তিনি তো সবার ঊর্ধ্বে। তিনি নিয়ে এলেন একটা দামি গিনির আংটি। এবার এই আংটি নিয়ে দুই সাধুবাবার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিল। মোড়ল তো একটি মাত্র আংটি দিলেন কিন্তু ছিলেন দু'জন সাধু, কে নেবে এই আংটি? তারপর একে একে সমস্ত গ্রামবাসীরা বাড়ির ফিরে গেলেন। প্রত্যেকেই আশীর্বাদ পেয়েছেন, শান্তি জল পেয়েছেন। তাই তারা সাধু বাবাদের ধন্য ধন্য করতে লাগলেন।


এতক্ষণ নরেনদা সবকিছু চুপচাপ দেখছিলেন, সবাই চলে গেলেও নরেনদা কিন্তু শান্তভাবে সাধুবাবুদের মাঝে গেলেন এবং তাদের সাথে মিশে গেলেন। এটা সেটা বলতে বলতে নরেনদা একটা যুক্তি দিলেন দুই সাধুবাবাকে। যে সাধুবাবা প্রমাণ করতে পারবেন তিনি সব থেকে বড় ধার্মিক এবং ভগবানের কাছ থেকে দেখা পেয়েছেন তিনি এই আংটির অধিকারী হবেন।


নরেনদার এই প্রস্তাবে দুই সাধুবাবা রাজি হলেন এবং তারা বললেন যে আমরা পাঁচ মিনিট করে তপস্যা করব তারপরে আমরা আমাদের ভগবানের কে কতটা কাছে আসতে পেরেছি তার গল্প শোনাবো। তারপরে নরেনদা বিচার করবে কে সবচেয়ে বড় ধার্মিক। নরেনদা এক কথায় বললেন, “হ্যাঁ ঠিক আছে তাই হোক।”


এভাবে দুই সাধু বাবা যখন পাঁচ মিনিট ধরে ধ্যানে বসলেন সেই সুযোগে নরেনদা সোনার গিনি আংটিটা টুক করে সরিয়ে নিয়ে, কিছু ছাই ভস্ম ঐ স্থানে রেখে দিলেন।


প্রথম সাধু বললেন, “আমি ধ্যানের মধ্যে দিয়ে কৈলাসে গিয়েছিলাম সেখানে দেখলাম নন্দী ফিরিঙ্গি মহাদেবের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং আমি নন্দী ভিরিঙ্গীর সাথে কথা বলে সিদ্ধি খেয়ে তবেই এসেছি। ওরা বলল আমার মত ভক্ত যে ওখানে আসবে তা ওরা জানত।”  প্রথম সাধু ভাবলেন মহাদেবের এত কাছ থেকে ঘুরে এসেছি আশা করি আমার থেকে বড় ধার্মিকের গুল গপ্পো দ্বিতীয় আর কেউ শোনাতে পারবে না।


এই গল্প শোনার পর দ্বিতীয় সাধু বলল, “আমিও তো কৈলাসে গিয়েছিলাম আমি গিয়ে মা পার্বতীর সাথে দেখা করে এসেছি, কথা বলে এসেছি, আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম উনি বললেন বাবা বাইরে একটু ঘুরতে বেরিয়েছেন। মা আমাকে যত্ন করেছেন, বলেছেন আমার মতো ভক্ত পেয়ে মহাদেব ধন্য।”

দ্বিতীয় সন্ন্যাসী ভাবলো আমি তো মহাদেবের স্ত্রী পার্বতীর সাথে দেখা করেছি তার মনে আমার গল্প হিসাবে আমি প্রথম সন্ন্যাসীর থেকেও বড় ধার্মিক।


এবার বিচারের জন্য তারা দুজনেই নরেনদার মুখের দিকে তাকালো। নরেনদা দুঃখ ভরা মুখ নিয়ে দুজনের দিকে তাকিয়ে বলল, “তোমরা যে সময় কৈলাসে গিয়েছিলে, তখন তো মহাদেব এখানে এসেছিলেন। বললেন এরা দুজনেই আমার পরম ভক্ত।  একটা আংটির জন্যে এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগুক তা আমি চাই না, তাই আমি এই আংটি ভস্ম করে দিলাম।” আর আমাকে বললেন, আমি যেন এই ছাই ভস্মটি তার দুই পরম ভক্তের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে যাই।

এই বলে নরেনদা ছাই-ভস্মটি দুই সাধুবাবাকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। আর দুই সাধু তার দিকে ফ্যাল-ফ্যাল করে চেয়ে রইলেন!

শব্দ দূষণ -
দিবাকর মন্ডল
Nov. 23, 2024 | সামাজিক ইস্যু | views:26 | likes:0 | share: 0 | comments:0

প্রতি বছরই রুটিন মাফিক মনসা পুজো থেকে শুরু করে দুর্গাপুজা, কালীপুজা এবং আরো অন্যান্য সমস্ত রকম ধর্মীয় পূজা-পার্বণ অনুষ্ঠানে (কখনো পারিবারিক কখনোবা সার্বজনীন) যেভাবে মাইক এবং বক্সের শব্দতাণ্ডব চালানো হয় তার থেকে কেউ রেহাই পায় না! ঐসব দিনগুলিতে দিনভর মণ্ডপ ও তার আশেপাশে মাইক বাজানো হয়। এ ছাড়াও ভাসানে মাত্রাতিরিক্ত জোরে সাউন্ড বক্স বাজানো ও শব্দ বাজি ফাটানো হয়। প্রকাশ্য রাস্তায় একটি ভ্যানে ১০ থেকে ১২টি সাউন্ড বক্স ও আট-দশটি চোঙা মাইক, সাথে জেনারেটর একসঙ্গে তুলে তারস্বরে বাজিয়ে উদ্দাম নাচতে নাচতে ভাসানে যাওয়াটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।


শব্দের তীব্রতা পরিমাপের একক ডেসিবেল (ডিবি)। শব্দের মাত্রা ৪৫ ডিবি হলেই সাধারণত মানুষ ঘুমাতে পারে না। ৮৫ ডিবিতে শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে এবং মাত্রা ১২০ ডিবি হলে কানে ব্যথা শুরু হয়।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি তিন বছরের কম বয়স্ক শিশু কাছাকাছি দূরত্ব থেকে ১০০ ডিবি মাত্রার শব্দ শোনে, তাহলে সে তার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতে পারে। মানুষ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ কিলোহার্টজ (KHZB) স্পন্দনের শব্দ শোনে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতানুসারে, সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ একজন মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শব্দবাজি এবং ডিজের আওয়াজে মানুষের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। হৃদ্‌রোগীদের পক্ষেও জোর শব্দ ভীষণ ভাবে ক্ষতিকারক। তাই শব্দ দূষণকে বলা হয় নীরব ঘাতক।


 আজ আমার রক্ত গরম, আমার বাড়িতে বয়স্ক কোন লোক নেই, বাচ্চা নেই, বক্স এবং মাইকের মুখ আমার বাড়ির দিকে নয়, তাই আমি গায়ের জোরে উচ্চস্বরে মাইক বক্স চালালে অন্যের ক্ষতি হবে, তাতে আমার কি! এই মানসিকতা নিয়ে যারা রয়েছেন তাদের বলব আগামী দিনে আপনিও বয়স্ক হবেন, আপনার বাড়ি তো একদিন না একদিন ছোট শিশু জন্মাবে! তখন যদি আগামী প্রজন্ম তাদের রক্তের গরমে চোখ দেখিয়ে আপনার বাড়ির দিকে মাইক বক্স করে উচ্চশব্দে গান-বাজনা চালায় তখন আপনি সহ্য করতে পারবেন তো? 


মানবিকতার নামে দানবিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নিজেদের আনন্দের জন্য যাঁরা আইন ভেঙে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলেন, তাঁদের জন্য আইনের সহায়তা নেয়া একমাত্র উপায়।

তাই বলব সার্বজনীন শুভ অনুষ্ঠান মানবিকতার দিক বজায় রেখেই করুন। আপনাদের অনুষ্ঠানের অর্থ যদি হয়ে থাকে সকলের মধ্যে সাম্য, মৈত্রী এবং ভালোবাসার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের ক্ষতিসাধন না করা, সকলের মুখে হাসি ফোটানো, তাহলে আশা করব আপনারা শব্দ দূষণকে নীরব ঘাতক হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নির্ধারিত নিয়ন্ত্রিত মাত্রা বজায় রেখে অনুষ্ঠান করুন তাতে সকলেই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে,  সকলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।


জাফরপুর, প্রামানিক পাড়া 

 ফলতা, দক্ষিণ 24 পরগনা 

দুই-পত্র -
দিবাকর মন্ডল
Nov. 21, 2024 | সামাজিক ইস্যু | views:284 | likes:0 | share: 0 | comments:0

এখনও গ্রাম বাংলার মানুষ থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে অনেক মানুষই আছেন, যারা ম্যাজিসিয়ানের জাদু দেখানোটাকে তন্ত্র, মন্ত্র ঈশ্বরের শক্তি এবং ভুতের অস্তিত্বের সঙ্গে বিশ্বাস করেন। অনেকেই মনে করেন ম্যাজিসিয়ানের হাতে থাকা কালো ছোটো লাঠি বা দন্ডটাই তার জাদুবিদ্যার উৎস। আসলে ম্যাজিক কোন তন্ত্র - মন্ত্র, ঈশ্বর বা ভূত-প্রেতের কারিগরি শিক্ষা বা কৌশল নয়; ম্যাজিক হল বিজ্ঞানের কলাকৌশল। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ম্যাজিশিয়ানদের মধ্যে একজন পিসি সরকারের (জুনিয়র) সামান্য একটু তথ্য তুলে ধরলাম বোঝানোর সুবিধার্থে। পি. সি. সরকার জাদুবিদ্যায় কল্পনা, উদ্ভাবনীর ক্ষমতা, প্রদর্শনভঙ্গি, পরিবেশনের মুর্ছনা, জাঁক-জমকপূর্ণ পোশাক, থিয়েটারের কায়দায় দৃশ্যপট, স্বদেশি কায়দায় বাজনা-সহ অভিনয়ে দক্ষ সুন্দর-সুন্দরী সহকারী-সহকারিনীর সঙ্গে আল্ট্রাভায়োলেট আলোর ব্যবহার করতেন। তিনিই প্রথম এসবের প্রবর্তক।

পি.সি.সরকাররের সেরা ম্যাজিক, বড় আকারের বস্তুগুলি অদৃশ্য করা। তাজমহল এবং ইন্দোর-অমৃতসর এক্সপ্রেস অদৃশ্য করেন। ৪ নভেম্বর ২০০০ সাল, তিনি আগ্রার কাখপুরাতে দুই মিনিটের জন্য তাজমহল "অদৃশ্য" করেন। তিনি কলকাতার ৩০০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি অদৃশ্য করেন। এবং ১৯৯২ সালে ভারতে বর্ধমান জংশনে এক বিশাল জনসাধারণের সামনে যাত্রীদের পূর্ণ ট্রেন অদৃশ্য করেছেন। তিনি লন্ডনের ট্রফ্লাগার স্কয়ার থেকে, চোখ বেঁধে উচ্চ গতিতে সাইকেল চালান এবং একটি রেকর্ড তৈরি করেন।

 পিসি সরকার যতবার ইন্টারভিউ দিতে সামনে এসেছেন ততবারই উনি বলেছেন যে জাদু কোন অলৌকিক ক্ষমতা নয়, শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে এমন ভাবে প্রয়োগ করা যাতে তা মানুষের চোখে আশ্চর্য লাগে। এককথায় মানুষের Attention Divert করার কৌশলের অপর নামই জাদু। উনি সবসময়ই বলেন জাদুবিদ্যায় কোনও অলৌকিকত্ব নেই। সবটাই বিজ্ঞান আর কঠোর অনুশীলন। যা ঘটছে সবই দর্শকদের চোখের সামনে, কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারছি না। এছাড়া মঞ্চ, আলো, জাদুকরের মুখে অনর্গল কথা, বাজনা... সবকিছুই দর্শকের সামনে এক camouflage তৈরি করে যেটা জাদুকরকে দর্শকের মন divert করতে সাহায্য করে।

বর্তমানে "ট্রিক বিহাইন্ড ম্যাজিক", “ফাইনালি ম্যাজিক'স সিক্রেট রিভিউ”  বলে দুটি অনুষ্ঠান হয় যেখানে কিভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে, কারসাজি এবং কৌশলের মাধ্যমে ম্যাজিক প্রদর্শন করে সেগুলো তুলে ধরা হয়। এছাড়াও ফেসবুক এবং ইউটিউব এ প্রচুর ভিডিও পাবেন যেখানে ম্যাজিশিয়ান কিভাবে ম্যাজিক দেখান তার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়।

অবশেষে এটাই বলতে পারি যে যত ভালোভাবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং কলাকৌশল কে কাজে লাগাতে পারে সে তত বড় ম্যাজিশিয়ান। ম্যাজিক বা জাদু কোন দৈবিক বিদ্যা, মন্ত্র, ভূতাত্মা, কোন মানুষের হাড় বা বিড়ালের হাড় (ম্যাজিশিয়ান এর হাতে থাকা ঐ কালো লাঠিটি যা অনেকে ভাবে) প্রভৃতির মাধ্যমে মোটেই হয় না। এগুলো একটা সম্প্রদায়ের নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কল্পনার মাধ্যমে মানুষের মগজের ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তার সঙ্গে বিশ্বাস শব্দটা যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এই সমস্ত ভন্ড এবং ভন্ডামির থেকে দূরে থাকবেন।

জেনে রাখুন ম্যাজিক এবং ম্যাজিশিয়ান দুটোই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া; কোনটাই অস্বাভাবিক বা অলৌকিক নয়।

দুই:

আজ অফিস যাওয়ার পথে একটা বিচারকের গাড়ির দিকে চোখ যায়। আমি বরাবরই উৎসুক থাকি নেতা মন্ত্রী, অফিসার, বিচারক, ডাক্তার এদের মুখটা, এদের চেহারাটা দেখার। স্বাভাবিকভাবে ভালো করে লক্ষ্য করার চেষ্টা করছিলাম ভদ্রলোককে কেমন দেখতে, কেমন তার চেহারা, কেমন গঠন। বিচারক বলে কথা! কিন্তু যে জায়গায় গিয়ে আমার চোখ আটকে গেল সেটা হল- আমি দেখলাম ভদ্রলোকের ডান হাতের তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকা তিনটিতেই পাথর বিশিষ্ট আংটি। দুটি পাথর বেশ বুঝতে পারছিলাম একটি মুক্তা এবং অপরটি নিলা কিন্তু তৃতীয় পাথরটির রং ভালোভাবে বুঝতে পারিনি।

যাইহোক এখানেই আমার প্রশ্ন দেশের বিচারক যদি কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়, তিনি কীভাবে অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করবেন? যদি কোন অপরাধি বলেন, "আমার মাথায় শনি ভর করেছিল তাই আমি খুন/ ধর্ষন করে ফেলেছি।" তাহলে কি বিচারক তাকে নীলা পরার পরামর্শ দেবেন? যদি কোন অপরাধি বলে তার মাথা এমনিতেই গরম তাই উল্টোপাল্টা কাজ করেছেন। তাহলে কি তাকে মুক্ত পরার উপদেশ দেবেন?

 আজ যে শুধু বিচারককে দেখেছি বলেই বিষয়টা আমার মাথায় লেগেছে তা নয়, এর আগেও আমি বহু শিক্ষককে দেখেছি, আমাদের অফিসের অফিসার কেও দেখেছি এবং অনেক উচ্চশিক্ষিত, পদমর্যাদার লোককেও দেখেছি এই ধরনের কুসংস্কার কে মান্যতা দিতে।

 যে দেশের বিচারক, আইন রক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষক, ডাক্তার এদের মত সমাজের আদর্শবান মানুষেরাই কুসংস্কার মানেন, ভুত-প্রেত, জিন, দেব-দেবীতে (আকার এবং নিরাকার) বিশ্বাস রাখেন, তন্ত্র মন্ত্রে আস্থা রাখেন, হাতে - গলায় মাদুলি ঝোলানো থেকে শুরু করে তাবিজ বা আংটি পরা, মানত করা, রোজা, নামাজ, যাগ-যজ্ঞ করা, বলি দেওয়া প্রভৃতি কুসংস্কার মেনে থাকেন। সেই দেশের জনগণ সুবিচার পাবে কিসের আশায় বলতে পারেন? যে মানুষটা বিশেষ একটা ধর্মীয় রীতিনীতিকে মান্যতা দেয়, সেই মানুষটার থেকে আপনি নিরপেক্ষ বিচার পাবেন, এটা কি সম্ভব?

যে দেশের উচ্চ শিক্ষিত মানুষেররা, যারা জাতির মেরুদন্ড, যারা ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ, যাদেরকে আমরা ছোটবেলা থেকে জীবনের লক্ষ্য বলে মনে করি তারাই যদি এমন আচরণ করে থাকেন। সেই দেশের গ্রাম্য, খেটে খাওয়া, অর্ধ শিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষদের আপনি কিভাবে কুসংস্কারমুক্ত করবেন বলতে পারেন?


আস্তিক-নাস্তিক: কিছু প্রশ্নোত্তর -
দিবাকর মন্ডল
Nov. 21, 2024 | নাস্তিকতা | views:282 | likes:0 | share: 0 | comments:0

অশিক্ষিত, মূর্খ মানুষদের আস্তিক বা ঈশ্বরশ্বরবাদী দাবি করতে দেখেছো?

উত্তরঃ হ্যাঁ

আস্তিকরা কি বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং প্রযুক্তি কে অস্বীকার করে?

উত্তরঃ হ্যাঁ (ওদের দাবি সব আদিশক্তি বা ভগবান করেছেন )

আস্তিকরা কি কোন তথ্য মানুষকে বিশ্বাস করে নিতে বলে?

উত্তরঃ হ্যাঁ

আস্তিকরা কি কোন কাল্পনিক ঘটনার তথ্য  বিবরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করে?

উত্তর - না।

আস্তিক দেশগুলো কি উন্নত?

উত্তরঃ না(কিছু অনুন্নত এবং কিছু উন্নয়নশীল )

ঈশ্বর বা ভুত কি আস্তিকদের  ক্ষতি করতে পারে?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

আস্তিকরা কি ধর্মগ্রন্থ গুলি পড়াশোনা করে?

উত্তরঃ বেশিরভাগই ধর্মগ্রন্থ পড়াশোনা করে না অন্যের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে মাতামাতি করে। পড়াশোনা না করে, শিক্ষিত না হয়ে, বিজ্ঞান মনস্ক না হয়ে কি আস্তিক হওয়া সম্ভব?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

আস্তিকদের ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে কি সমাজের সকল শ্রেণীর উন্নতি হয়?

উত্তরঃ না। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের উন্নতি হয়।

আস্তিকদের কর্মকান্ডের ফলে কি মানুষের জীবনহানি ঘটেছে?

উত্তর হ্যাঁ। নরবলি, সতীদাহ প্রথা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন, এবং ডাইনি প্রথার মত বহু ঘটনায় বহু মানুষের জীবন গিয়েছে।

আস্তিকদের যাগ-যজ্ঞ,পূজা এসবের ফলে দেশের জনগণের, খেলাধুলার শিক্ষা,  স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক দিক গুলিতে দেশের কি উন্নতি হয়েছে?

উত্তর- না।

সকল আস্তিকের ঈশ্বর কি এক?

উত্তর- না।

সকল আস্তিক দের রীতিনীতি কি এক?

উত্তর- না।

আস্তিকদের মতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর সকল প্রকার মানুষকে কি সমানাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়?

উত্তর- না।

অশিক্ষিত, মূর্খ মানুষদের নাস্তিক বা নিরীশ্বরবাদী দাবি করতে দেখেছো?

উত্তর - না।


পার্ট-২

নাস্তিকরা কি বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং প্রযুক্তি কে অস্বীকার করে?

উত্তর - না।

নাস্তিকরা কি কোন তথ্য মানুষকে বিশ্বাস করে নিতে বলে?

উত্তর - না।

নাস্তিকরা কি কোন কাল্পনিক ঘটনার তথ্য  বিবরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করে?

উত্তর - হ্যাঁ।

পৃথিবীতে নাস্তিকদের সংখ্যা কত শতাংশ?

৭% সমগ্র পৃথিবীতে

যার মধ্যে China - 91%

Japan - 87%

Sweden - 78%

Czech Republic - 76%

United Kingdom - 73%

Belgium - 72%

Estonia - 72%

Norway - 70%

Australia - 69%

Denmark - 68% মানুষ নাস্তিক এবং নিরীশ্বরবাদী।

সরকারি ভাবে প্রথম নাস্তিকদের দেশ কোনটি?

উত্তর - আলবেনিয়া (১৯৭৬)

নাস্তিক দেশগুলো কি উন্নত?

উত্তরঃ হ্যাঁ

ঈশ্বর বা ভুত কি নাস্তিকদের  ক্ষতি করতে পারে?

উত্তরঃ না।

নাস্তিকরা কি ধর্মগ্রন্থ গুলি পড়াশোনা করে?

উত্তরঃ হ্যাঁ

পড়াশোনা না করে, শিক্ষিত না হয়ে, বিজ্ঞান মনস্ক না হয়ে কি নাস্তিক হওয়া সম্ভব?

উত্তরঃ না।

নাস্তিকদের ক্রিয়া-কলাপ এর ফলে কি সমাজের সকল শ্রেণীর উন্নতি হয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ। মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক এবং বাস্তববাদী করে তোলা হয়।

নাস্তিকদের কর্মকান্ডের ফলে কি মানুষের জীবনহানি ঘটেছে?

উত্তর - না। উল্টে আস্তিকদের হাতে অনেকেই আহত এবং নিহত হয়েছেন।

নাস্তিকদের মতামতের ফলে দেশের জনগণের, খেলাধুলার শিক্ষা,  স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক দিক গুলিতে দেশের কি উন্নতি হয়েছে?

উত্তর- হ্যাঁ।

সকল নাস্তিক দের রীতিনীতি কি এক?

উত্তর- হ্যাঁ সকলেই তথ্য প্রমাণ ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণে বিশ্বাসী।

নাস্তিকদের মতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর সকল প্রকার মানুষকে কি সমানাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়?

উত্তর- হ্যাঁ।

 lt. Nabin ch. Mondal

Pramanik para, Falta.. S 24 pgs

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86929